আমার পকেটে দুই কোটি আহলে হাদীসের ভোট সংসদে এমপি এ কে এম রহমতুল্লাহ
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ও আহলে হাদীসের উপদেষ্টা এ কে এম রহমতুল্লাহ জাতীয় সংসদে বলেছেন, তিনি আহলে হাদীসের প্রধান উপদেষ্টা। তাঁর পকেটেই আহলে হাদীসের আড়াই কোটি ভোট আছে। জাতীয় সংসদে আহলে হাদীসের অনুসারী প্রায় ৩০ জন সংসদ সদস্য আছেন, যারা সবাই আ'লীগের নেতা। তবে অনেকে পরিচয় দেন না।
প্রাইম ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড থেকে ৩৯ কোটি ৪০ লাখ টাকা ঋণ নিয়ে আত্মসাতের অভিযোগে দুই ছেলের বিরুদ্ধে দুদক মামলা দায়ের করায় সরকারের প্রতি ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান ও চট্টগ্রাম-২ (ফটিকছড়ি) আসনের সংসদ সদস্য সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী। একইসঙ্গে সরকারের উদ্দেশে হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেছেন, আমার মুখ খোলাবেন না। আমি মুখ খুললে অসুবিধা হয়ে যাবে। আমি আপনাদের সাথে (আওয়ামী লীগ) আছি, আমাকে সাইজ করার চেষ্টা করলে নিজেরাই সাইজ হয়ে যাবেন।
ফটিকছড়িতে শাহসুফি সৈয়দ শফিউল বশর (ক.) মাইজভান্ডারীর খোশরোজ শরীফ উপলক্ষে আয়োজিত ওয়াজ ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। হঠাৎ করে সরকারের বিপক্ষে তার এমন বক্তব্য রাজনৈতিক মহলে আলোচনার ঝড় উঠেছে।
নজিবুল বশর মাইজভান্ডারি বলেন, আমি ১৪ দলীয় জোটে আছি এবং থাকবো। ওরা এখনও নজিবুল বশর কী তা চিনে নাই। আমার জন্য অনেকে কথা বলবে। বিএনপিকে ঘরে ঢুকানো সম্ভব, কিন্তু নজিবুল বশর মাইজভান্ডারীকে না।
দুদক কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ৩৯ কোটি ৪০ লক্ষ টাকা ঋণ নিয়ে টাকা জমা দিয়ে দিলে কী আর টাকা আত্মসাত থাকে? ওই মামলায় ৬৫ কোটি টাকা যা জমা হয়েছে দুদক তা গোপন করেছে। দুদক নজিবুল বশর মাইজভান্ডারীকে চিনে নাই।
দুই ছেলেসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন দুদকের করা মামলার বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ করে উল্টো দুদকের বিরুদ্ধে রিট করার ঘোষণা দিয়ে তিনি বলেন, আমি দুদকের বিরুদ্ধে রিট করবো। দুদকের বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ করবো কারণ আমরা পরিষ্কার।
তিনি বলেন, আমি এবং আমার ছেলের জন্য মাইজভান্ডার দরবার শরীফ কলঙ্কিত হবে তার চেয়ে মরে যাওয়ায় ভালো।
শেখ হাসিনার অনুগত কথিত এই পীর বলেন, দুদক মাইজভান্ডার ও তরিকত বিরোধীদের এজেন্ডা বাস্তবায়নের চেষ্টা করছে।
তিনি আরও বলেন, আমার সিট আমি ঠিক করি। সরকারও জানে। কওমির সঙ্গে সরকারের গণ্ডগোল, আমি সরকারকে সহযোগিতা করেছি। আগামী নির্বাচনেও আমি এখান থেকে এমপি নির্বাচিত হবো। আমি ভেসে আসি নাই। মাইজভান্ডারের দিকে যারাই অসৎ উদ্দেশ্য হাত দিয়েছে তাদের হাত পুড়ে গেছে।
এর আগে প্রাইম ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড থেকে ৩৯ কোটি ৪০ লাখ টাকা ঋণ নিয়ে আত্মসাতের অভিযোগে নজিবুল বশর মাইজভান্ডারির ছেলে তরিকত ফেডারেশনের যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ তৈয়বুল বশর মাইজভান্ডারী ও তার ভাই সৈয়দ আফতাবুল বশর মাইজভান্ডারীসহ ১৪ জনের নামে মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গত (১৯শে ফেব্রুয়ারি) বিকেলে দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১ কমিশনের সহকারী পরিচালক মো. সাইফুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারীর পরিবারের সবাই তরীকতভিত্তিক সংগঠনে জড়িত থাকলেও তিনি শুরুতেই যুক্ত হন আওয়ামী লীগে। পরে যোগ দেন বিএনপিতে। তিনি আওয়ামী লীগ থেকে একবার, বিএনপি থেকে একবার ও তরীকত ফেডারেশনের প্রার্থী হয়ে টানা দুইবার ফটিকছড়ি থেকে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়ী হন।
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের অগ্রগতির নিয়ে প্রশ্ন করায় সাংবাদিকদের ওপর ক্ষেপে গেলেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান। বিষয় বহির্ভূত প্রশ্ন করায় সাংবাদিকদের মান নিয়ে প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, সাংবাদিকতার সনদ নিয়েই সাংবাদিকতা করা উচিত।
স্থানীয় নেতাদের নিজের পক্ষে রাখতে কোরআনে হাত রেখে শপথ করালেন আওয়ামী এমপি
স্থানীয় নেতা ও জনপ্রতিনিধিদের নিজের পক্ষে রাখতে পবিত্র কোরআন শরীফে হাত রেখে শপথ করিয়েছেন রাজশাহী-১ আসনের আওয়ামী সংসদ সদস্য ওমর ফারুক চৌধুরী।
রাজশাহী-১ (গোদাগাড়ী-তানোর) আসনের এই সাংসদ জাতীয় সংসদ ভবনে নিজ কার্যালয়ে এমন শপথ করিয়েছেন।
শনিবার রাতে এই শপথ করানোর সময় ওমর ফারুক চৌধুরী নিজেই পুরো বিষয়টি মোবাইলে ভিডিও করেন। এরপর শপথ পাঠ করার একাধিক ভিডিও ও ছবি ছড়িয়ে পড়েছে।
প্রাইম ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড থেকে ৩৯ কোটি ৪০ লাখ টাকা ঋণ নিয়ে আত্মসাতের অভিযোগে দুই ছেলের বিরুদ্ধে দুদক মামলা দায়ের করায় সরকারের প্রতি ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান ও চট্টগ্রাম-২ (ফটিকছড়ি) আসনের সংসদ সদস্য সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী। একইসঙ্গে সরকারের উদ্দেশে হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেছেন, আমার মুখ খোলাবেন না। আমি মুখ খুললে অসুবিধা হয়ে যাবে। আমি আপনাদের সাথে (আওয়ামী লীগ) আছি, আমাকে সাইজ করার চেষ্টা করলে নিজেরাই সাইজ হয়ে যাবেন।
ফটিকছড়িতে শাহসুফি সৈয়দ শফিউল বশর (ক.) মাইজভান্ডারীর খোশরোজ শরীফ উপলক্ষে আয়োজিত ওয়াজ ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। হঠাৎ করে সরকারের বিপক্ষে তার এমন বক্তব্য রাজনৈতিক মহলে আলোচনার ঝড় উঠেছে।
নজিবুল বশর মাইজভান্ডারি বলেন, আমি ১৪ দলীয় জোটে আছি এবং থাকবো। ওরা এখনও নজিবুল বশর কী তা চিনে নাই। আমার জন্য অনেকে কথা বলবে। বিএনপিকে ঘরে ঢুকানো সম্ভব, কিন্তু নজিবুল বশর মাইজভান্ডারীকে না।
দুদক কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ৩৯ কোটি ৪০ লক্ষ টাকা ঋণ নিয়ে টাকা জমা দিয়ে দিলে কী আর টাকা আত্মসাত থাকে? ওই মামলায় ৬৫ কোটি টাকা যা জমা হয়েছে দুদক তা গোপন করেছে। দুদক নজিবুল বশর মাইজভান্ডারীকে চিনে নাই।
দুই ছেলেসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন দুদকের করা মামলার বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ করে উল্টো দুদকের বিরুদ্ধে রিট করার ঘোষণা দিয়ে তিনি বলেন, আমি দুদকের বিরুদ্ধে রিট করবো। দুদকের বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ করবো কারণ আমরা পরিষ্কার।
তিনি বলেন, আমি এবং আমার ছেলের জন্য মাইজভান্ডার দরবার শরীফ কলঙ্কিত হবে তার চেয়ে মরে যাওয়ায় ভালো।
শেখ হাসিনার অনুগত কথিত এই পীর বলেন, দুদক মাইজভান্ডার ও তরিকত বিরোধীদের এজেন্ডা বাস্তবায়নের চেষ্টা করছে।
তিনি আরও বলেন, আমার সিট আমি ঠিক করি। সরকারও জানে। কওমির সঙ্গে সরকারের গণ্ডগোল, আমি সরকারকে সহযোগিতা করেছি। আগামী নির্বাচনেও আমি এখান থেকে এমপি নির্বাচিত হবো। আমি ভেসে আসি নাই। মাইজভান্ডারের দিকে যারাই অসৎ উদ্দেশ্য হাত দিয়েছে তাদের হাত পুড়ে গেছে।
এর আগে প্রাইম ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড থেকে ৩৯ কোটি ৪০ লাখ টাকা ঋণ নিয়ে আত্মসাতের অভিযোগে নজিবুল বশর মাইজভান্ডারির ছেলে তরিকত ফেডারেশনের যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ তৈয়বুল বশর মাইজভান্ডারী ও তার ভাই সৈয়দ আফতাবুল বশর মাইজভান্ডারীসহ ১৪ জনের নামে মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গত (১৯শে ফেব্রুয়ারি) বিকেলে দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১ কমিশনের সহকারী পরিচালক মো. সাইফুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারীর পরিবারের সবাই তরীকতভিত্তিক সংগঠনে জড়িত থাকলেও তিনি শুরুতেই যুক্ত হন আওয়ামী লীগে। পরে যোগ দেন বিএনপিতে। তিনি আওয়ামী লীগ থেকে একবার, বিএনপি থেকে একবার ও তরীকত ফেডারেশনের প্রার্থী হয়ে টানা দুইবার ফটিকছড়ি থেকে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়ী হন।